যুদ্ধবিরতির মধ্যেও অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতিস্থাপনকারীরা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজধানী গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ৩৫ জন অজ্ঞাতনামা ফিলিস্তিনির মরদেহ পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম সেন্ট্রাল গাজা থেকে জানান, ‘প্রতিদিন গাজার পরিবারগুলো হাসপাতাল ও মর্গে গিয়ে তাদের প্রিয়জনদের খোঁজে মরিয়া হয়ে উঠছেন। অনেকেই পোশাক বা চিহ্ন দেখে মরদেহ শনাক্তের চেষ্টা করছেন, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই তা সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা পচনশীল মরদেহ ও ডিএনএ পরীক্ষার সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে শনাক্তকরণে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। ফলে বহু পরিবার এখনো প্রিয়জনের খোঁজ না পেয়ে অসহায় অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।’
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৯ হাজার ১৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এছাড়া গত ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ২৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে গাজা প্রশাসন।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, ইসরায়েলের অভিযানের দুই বছর পরও গাজার বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার নিখোঁজ মানুষের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ