তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, ইউক্রেনে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কূটনীতি এখনও সবচেয়ে কার্যকর পথ বলে বিশ্বাস করে আঙ্কারা। এজন্য ইস্তাম্বুলে চতুর্থ দফা শান্তি আলোচনা ও সম্ভাব্য নেতৃবৃন্দের শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের।
শনিবার ইস্তাম্বুলে আয়োজিত ‘টিআরটি ওয়ার্ল্ড ফোরাম ২০২৫’-এর অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।
হাকান ফিদান বলেন, আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি—ইস্তাম্বুলে চতুর্থ দফা আলোচনা এবং সম্ভাব্য নেতাদের সম্মেলন আয়োজনের জন্য তুরস্ক প্রস্তুত।
তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যোগাযোগ পুনরুদ্ধারে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দেশটি এর আগে তিন দফা আলোচনা আয়োজন করেছে এবং বন্দি বিনিময়সহ বেশ কিছু মানবিক উদ্যোগেও সহায়তা দিয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গেই গঠনমূলক সংলাপ বজায় রেখে তুরস্ক ‘ইস্তাম্বুল প্রক্রিয়া’র মাধ্যমে তাদের আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তুরস্ক বহুপাক্ষিকতা ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের নীতিতে বিশ্বাস করে এবং সংলাপ ও কূটনীতিকে পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি হিসেবে ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আঙ্কারা ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ ও প্রতিনিধিত্বমূলক একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আগ্রহী সব দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
‘গ্লোবাল রিসেট: ফ্রম দ্য ওল্ড অর্ডার টু নিউ রিয়েলিটিজ’ শিরোনামের এবারের ফোরামে “দ্য রিটার্ন অব হাই-রিস্ক ডিপ্লোম্যাসি: মিডল পাওয়ারস অ্যান্ড দ্য ইমার্জিং মাল্টিপোলার অর্ডার” অধিবেশনের উদ্বোধনীতে বক্তৃতা দেন তুরস্কের এই শীর্ষ কূটনীতিক।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী শক্তিগুলোর কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে, আর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা জটিল সংকটে বিপর্যস্ত। ফলে মানবসভ্যতা দ্রুত বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ফিদান বলেন, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—আমরা সহযোগিতা, সংলাপ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বহুপাক্ষিকতার পক্ষেই দাঁড়িয়েছি।
সূত্র: আনাদোলু
বিডি প্রতিদিন/নাজিম