যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিক্ষোভে মাস্ক পরিহিত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (৯ জুন) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “মুখে মাস্ক পরা ব্যক্তিদের এখনই গ্রেফতার করুন।”
এর আগে একাধিকবার তিনি মাস্ক পরা বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে আসছিলেন। ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, মাস্ক ব্যবহার করে অনেকেই নিজেদের পরিচয় গোপন করে সহিংসতায় জড়াচ্ছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বিক্ষোভ চলাকালে কেউ মাস্ক পরলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পটভূমিতে রয়েছে গত শুক্রবার (৬ জুন) লস অ্যাঞ্জেলেসের উপশহর প্যারামাউন্টে অভিবাসনবিরোধী অভিযান। ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানটির লক্ষ্য ছিল নথিপত্রহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা। তবে অভিযান শুরুর পর থেকেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
প্রধানত মেক্সিকো এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের বসবাস এই প্যারামাউন্ট এলাকায়। এখানকার অধিকাংশ বাসিন্দার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পুরো লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ জুন শহরে মোতায়েন করা হয় মার্কিন ন্যাশনাল গার্ডের দুই হাজার সদস্য। তবে সেনা মোতায়েনের পরও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি। সরকারি ভবন ও অফিসগুলোতে সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জের মাধ্যমে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে।
এখন পর্যন্ত সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস ও সহিংসতার অভিযোগে অন্তত ২০০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং মাস্ক পরিহিত সক্রিয় বিক্ষোভকারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টার্গেট করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা