তৃতীয় দিনেই জয় নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন নাজমুলরা। চতুর্থ দিন ছিল শুধু উৎসবের অপেক্ষা। কতক্ষণে উৎসব-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠবেন টাইগাররা, সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সেটাই ছিল দেখার। চতুর্থ দিন খেলা শেষ হতে সময় লেগেছে প্রায় দেড় সেশন। আয়ারল্যান্ড ইনিংস ও ৪৭ রানে হারের আগে লড়াই করেছে ৪১.২ ওভার। অবশ্য সফরকারী দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করেছে ৭০.২ ওভার। আইরিশদের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি করা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। যদিও তার লড়াই বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে জয় আটকাতে পারেনি। সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ ইনিংস ব্যবধানে জয়। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানে, জিম্বাবুয়েকে দুবার- ইনিংস ও ১০৬ এবং ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়েছে। আয়ারল্যান্ডকে এবার হারাল দেড় দিন হাতে রেখে। চলতি সিরিজটি বাইলেটারাল। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত নয়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটা দ্বিতীয় জয়। ২০২৩ সালে আইরিশদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা।
বাংলাদেশ দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। দুই বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও অভিষিক্ত টেস্ট ক্রিকেটার হাসান মুরাদ গতকাল সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেকগুলো ঠুঁকে দেন। তৃতীয় দিন ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা সফরকারীদের অবশিষ্ট ৫ উইকেটের ৪টিই নিয়েছেন তাইজুল-হাসান। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সেঞ্চুরি করলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন ক্যারিয়ারসেরা ১৭১ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদুল হাসান। ১৯ নভেম্বর মিরপুর স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। মিরপুরের টেস্টটি আবার সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের স্পেশাল। বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ৯৯ টেস্ট খেলা মুশফিক।
নতুন করে টেস্ট নেতৃত্ব পাওয়ার পর আয়ারল্যান্ড সিরিজই নাজমুলের প্রথম। প্রথম টেস্টেই বাজিমাত করেছেন জিতে। শুধু তাই নয়, সেঞ্চুরিও করেছেন টাইগার অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা ২৮৬ রান করে। জবাবে মাহমুদুলের ১৭১, নাজমুলের ১০০ এবং সাদমানের ৮০, মুমিনুলের ৮২ ও লিটন দাসের ৬০ রানে ভর করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ৩০১ রানে পিছিয়ে তৃতীয় দিনে ৮৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট খুইয়ে হারের পাইপলাইনে চলে আসে আয়ারল্যান্ড। গতকাল অলআউট হয় ৭০.২ ওভারে ২৫৪ রানে। অভিষেকে আলো ছড়ানো হাসান মুরাদ ৬ উইকেট নেন। আরেক বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল নেন ৫ উইকেট। অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ নেন ৩ উইকেট। তিন স্পিনার প্রতিপক্ষের উইকেট নেন ১৪টি।