ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে লোকবলের স্বল্পতা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। সীমিত জনবল সত্ত্বেও মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব হয়েছে।
রবিবার গুলশানে ডিএনসিসির সেমিনার রুমে আয়োজিত ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডেঙ্গু একটি জটিল সমস্যা জানিয়ে মোহাম্মদ এজাজ জানান, আমাদের কর্মীরা মাঠে ঘুরে ডেঙ্গুর তথ্য সংগ্রহ করছেন। এর ফলে গত চার মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে শুধু কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাই যথেষ্ট নয়, কারণ মশার বংশবৃদ্ধি প্রায়ই ব্যক্তিগত বাড়ির ছাদ, রান্নাঘরের নিচে বা দুটি বাড়ির মাঝের স্থানে ঘটে—যেখানে সরকারি কর্মীদের প্রবেশাধিকার নেই। ডেঙ্গু একটি জটিল সমস্যা; একে অপরকে দোষারোপ না করে ব্যক্তি পর্যায় থেকে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমেই এর কার্যকর সমাধান সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কাজের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে মনিটরকারী নিয়োগ করা হয়েছে, যারা মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এ মনিটরিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর কর্মদক্ষতা বেড়েছে এবং গত চার মাসে পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। সীমিত লোকবল ও সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক আরও জানান, মশা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে অফিসার পর্যায় পর্যন্ত জনবল খুবই সীমিত। এ অল্প লোকবল ও সম্পদ দিয়ে কাজ চালানো কঠিন। তাই শুধুমাত্র ডিএনসিসির পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম