তোমরা জানো, পৃথিবীতে এমন এক পাখি আছে যে উড়তে পারে না, কিন্তু পৃথিবীর শীতলতম জায়গায় হেসেখেলে জীবন কাটায়? সে হলো এম্পেরর পেঙ্গুইন!
এরা পেঙ্গুইনের মধ্যে সবচেয়ে বড়, প্রায় তোমাদের ছোট ভাই বা বোনের মতোই লম্বা! এদের ঝলমলে সাদা-কালো শরীর আর কানের কাছে হলুদ-কমলা রঙের ছোঁয়া। এদেরকে বরফের রাজ্যে সত্যিকারের রাজা বা রানির মতো দেখায়। এম্পেরর পেঙ্গুইন থাকে সুদূর অ্যান্টার্কটিকায়। শুনে অবাক হবে, যখন চারদিকে কনকনে ঠান্ডা আর বরফ ঝরতে থাকে, তখন বাবারা ডিমগুলোকে তাদের পায়ের ওপর রেখে পেটের ভাঁজের নিচে লুকিয়ে রাখে। এই সময় মায়েরাই খাবার খুঁজতে সমুদ্রে চলে যায়। বাবারা তখন কয়েক মাস না খেয়ে ডিম পাহারা দেয়! ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য কয়েক হাজার এম্পেরর পেঙ্গুইন একসঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বিশাল ‘হুডল’ বা দল তৈরি করে। মাঝখানের পেঙ্গুইনগুলো থাকে গরম আর বাইরেরগুলো একে অপরের সঙ্গে জায়গা বদল করে ভিতরে আসে। যখন ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়, তখন মা ফিরে আসে খাবার নিয়ে। এই ছোট্ট, তুলতুলে পেঙ্গুইন ছানারা যখন বড় হয়, তারাও হয়ে ওঠে এক একটি সাহসী অভিযাত্রী।