সিরাজগঞ্জে টানা ভারী বৃষ্টিতে ৪০৭ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৬ হেক্টর রোপা আমনের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি মাসকলাই ও শীতকালীন সবজিসহ অন্যান্য ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা সরকারি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার কৃষক আব্দুল হাই, আকমল হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কয়েক দিন আগে জেলার নয়টি উপজেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে নিচু এলাকার জমিগুলো পানির নিচে ডুবে যায়। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়ার কারণে ধান গাছ নুইয়ে পড়ে এবং সবজিগুলো পড়ে গিয়ে পচে নষ্ট হতে শুরু করে। ফলে তাদের খরচও পোষানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সরকারি প্রণোদনা ছাড়া ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।
তাড়াশের গোন্তা গ্রামের কৃষক মুঞ্জুর রহমান জানান, তার ২৮ বিঘা রোপা আমনের মধ্যে ১২ বিঘাই পানির নিচে। কয়েক দিনের মধ্যে সোনালি ধান ঘরে তোলার আশা ছিল, কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে।
বর্গাচাষী আবু হানিফ জানান, পাকা ধান পানির নিচে থাকায় শ্রমিক নেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় তিনি নিজেই কাস্তে হাতে ধান কাটার চেষ্টা করছেন। ঋণের টাকায় ৫ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছিলেন। এখন পরিবার নিয়ে কীভাবে চলবেন, সেই দুশ্চিন্তায় আছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনজুরে মওলা জানান, বৃষ্টির কারণে ৪০৭ হেক্টর জমির ধান, মাসকলাই ও শীতকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৬ হেক্টর রোপা আমন পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। নুইয়ে পড়া ধান দ্রুত কেটে ফেলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ফসলগুলো উঁচু করে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতির তালিকা ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সরকার প্রণোদনা দিলে তা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল