ঋতুচক্রের ধারায় হেমন্তকাল চললেও প্রতি বছর এ সময় রংপুর অঞ্চলে শীত জেঁকে বসতে শুরু করে। এবার রংপুর অঞ্চলে বিচিত্র আবহাওয়া বিরাজ করছে। দিন-রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। ফলে দিনে তাপদাহ বইছে আর গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনা স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২–৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ছিল ২০–২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বুধবার (১২ নভেম্বর) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে দিনের বেলায় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে, আর গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বাড়ছে।
এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রার ওঠাপড়ার প্রভাব সরাসরি পড়েছে জনজীবনে। ঘর-বাড়িতে জ্বর, সর্দি-কাশি সহ বিভিন্ন মৌসুমি রোগ দেখা দিতে শুরু করেছে।
এছাড়া কৃষিক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শাকসবজি ও ধানসহ অন্যান্য ফসলের ফলন তাপমাত্রার বৈচিত্রের কারণে প্রভাবিত হতে পারে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে উচ্চতা ও নদীর স্তরের হ্রাসের কারণে তিস্তা সহ অন্যান্য নদীর প্রবাহও সংকুচিত হচ্ছে। অনেক স্থানে নদী শুকিয়ে ক্ষীণ ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, ‘এই সময় তাপমাত্রার কিছুটা বৈচিত্র থাকবে এটাই স্বাভাবিক।’
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ