গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে জামায়াতকর্মী শাহাবুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে দাফনের পৌনে ১২ বছর পর তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ। এর আগে মঙ্গলাবর বিকালে কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
নিহত জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মৃত শেখ খিজির উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকালে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সেকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদের উপস্থিতিতে কবরস্থান থেকে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলামের লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় লাশের অংশবিশেষ সংগ্রহ করে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শাহাবুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় তার সাথে থাকা মিজানুর রহমানও আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক শাহাবুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনায় প্রায় ১১ বছর পর ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর নিহতের ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির বাদী হয়ে সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে প্রধান আসামি করে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। এতে আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, আদালতের নির্দেশে লাশের অংশবিশেষ সংগ্রহ করে বুধবার দুপরে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম