কুষ্টিয়ায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ১১৫টি পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দুর্নীতিবিরোধী ছাত্র–জনতা।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন মোস্তাফিজুর রহমান, সুলতান মারুফ তালহা, আলী মুজাহিদ, মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ, হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইমরানসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনা কুষ্টিয়ার প্রশাসনিক কাঠামোয় দুর্নীতির গভীর শিকড়ের প্রতিফলন। তারা বলেন, প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়েই যখন দুর্নীতি আশ্রয় পায়, তখন সাধারণ মানুষের ভরসা কোথায়?
বক্তারা বলেন, আপনাদের বেতন আমাদের কষ্টের টাকায়—অতএব চোখে ধুলো দেওয়া বন্ধ করুন, সরল পথে চলুন।
তারা আরও বলেন, ২৪-এ আমরা রক্ত দিয়েছি, প্রয়োজনে আবারও দেবো; কিন্তু দুর্নীতিবাজদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতি করতে হলে অন্য জেলা বেছে নিন, কুষ্টিয়ায় বসে দুর্নীতি চলবে না।
দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্তে কুষ্টিয়ার এডিসি জেনারেল (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শাহাদত হোসেন কবির, পিইসি খুলনার উপপরিচালক নাসরিন সুলতানা, কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. হোসেন ইমাম ও তার ভাই স্বাস্থ্য সহকারী হাসান ইমাম (নান্নু)সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে ফাঁস হওয়া পরীক্ষা বাতিল করে ১৫ দিনের মধ্যে স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত পুনঃপরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি পুরোনো নিয়োগ কমিটি বাতিল করে নতুন নিরপেক্ষ কমিটির মাধ্যমে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের আহ্বান জানান।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার আগেই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন