ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ইউনুছ আলী (৬০) নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় এ নিয়ে দুইজন মারা গেলেন।
আজ বুধবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তিনি উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের মৃত হবিবার রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জামাল ইউনিয়নের বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে যুবদল নেতা আরিফ হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত রবিবার (১ জুন) সকালে নাকোবাড়িয়া গ্রামে নজরুল ইসলাম মোল্লার সমর্থকরা হামলা চালায়। তখন আরিফের সমর্থকরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেই সময় অন্তত ৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে মহব্বত হোসেন নামের একজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মহব্বত আলী হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকালে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হয়। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. নুরুল ইসলামকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা সবাই কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম ফিরোজের অনুসারী। মামলা দায়েরের একদিন পর বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউনুছ আলী মারা যাওয়ায় এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ইতোমধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ