টঙ্গীতে চরম দারিদ্র্য ও অসহায়তার কারণে নবজাতক সন্তানকে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া খালেদা বেগমের ঘটনা এলাকায় তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে মরকুন এলাকার ময়লার স্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা এ নবজাতক বর্তমানে এক নিঃসন্তান মনিরার জিম্মায় রয়েছে। গতকাল শিশুটির মা-বাবাকে শনাক্ত করে পুলিশ ও সমাজসেবা অধিদপ্তর।
পুলিশ জানায়, নবজাতকের বাবা স্বপন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। অন্যদিকে মা খালেদা বেগম নিজেও নানান রোগে আক্রান্ত, তবু মাটি কাটার কাজ করে তিন সদস্যের পরিবারটিকে কোনোভাবে টিকিয়ে রাখছেন। খালেদা বেগম জানান, ‘এই বাচ্চা পালতে গেলে কাজ বন্ধ করতে হবে। তাই উপায় না দেখে রাস্তায় ফালায়া আইছি।’ খালেদা অসুস্থ স্বামী এবং দুই সন্তান জিহাদ (১২) ও আড়াই বছরের ফাতেমাকে নিয়ে মরকুন মধ্যপাড়ার একটি ঘরে ভাড়া থাকেন। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে।
টঙ্গী সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী জান্নাতুল বাকিয়া বলেন, ‘আদালতের অনুমতি নিয়ে অভিভাবকত্ব (গার্ডিয়ানশিপ) দেওয়া যায়।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ‘অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’