দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে ফুলবাড়ী শহর অংশে যত্রতত্র বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানো নামানো, পণ্য লোড-আনলোড করা হয়। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এ এলাকা যেন মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ১০ মাসে ২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া শহরবাসী ও পথচারীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয়রা জানান, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে ফুলবাড়ী হয়ে প্রতিদিন শত শত বাস-ট্রাক অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। যাত্রীবাহী যানবাহন ফুলবাড়ী শহরে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করায়। ট্রাকসহ পণ্যবাহী যানবাহন মালামাল লোড-আনলোড করে। ফলে প্রতিদিনই শহরের রাস্তায় থাকে যানজট। এতে ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা আরও জানান, ফুলবাড়ী হয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো। এ কারণে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক বাস, ট্রাক, পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। তবে টার্মিনাল না থাকায় শহরে যত্রতত্র বাস দাঁড় করা হয়। যাত্রী ওঠানো-নামানো হয়। এ ছাড়া ফুটপাত দখল হয়ে গেছে। পথচারীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে ফুলবাড়ী নিমতলা মোড় ও নৈশকোচ কাউন্টারের সামনে এবং বটতলী মোড়ে সড়কের ওপর বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায় শহরে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে তা আরও বাড়ে।
ফুলবাড়ী থানা সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মহাসড়কের এই অংশে ২১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে ২৩ জন। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। স্থানীয় মেহেদী হাসান বলেন, যানজটের কারণে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হয়। শহরের যেখানে-সেখানে সড়কের ওপর গাড়ি থামায় যানজটের সৃষ্টি হয়। একটা টার্মিনাল হলে এই ভোগান্তি অনেকটা কমে যেত।
দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ফুলবাড়ী স্ট্যান্ড শাখার সভাপতি মহসীন আলী সরকার বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব এক একর জায়গা রয়েছে। কিন্তু আর্থিক সংগতি না থাকায় আমাদের পক্ষে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ওই জায়গায় সরকার বাস টার্মিনাল নির্মাণ করে দিলে শহরের যত্রতত্র দূরপাল্লার যানবাহন দাঁড়ানো বন্ধ হয়ে যাবে। কমে যাবে যানজট, সড়ক দুর্ঘটনা।’
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, জটিলতা আছে অনেক। দূরপাল্লার কোচগুলো দাঁড়ানোর কোনো নির্ধারিত স্থান নেই। এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।