গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গরু চোর সন্দেহে আবদুস সালাম (৫০) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ। এ ঘটনায় জড়িত দুলালী বেগম (৪৩) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের বেলকা নবাবগঞ্জ এলাকার তিস্তার চরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুস সালাম একই ইউনিয়নের রামডাকুয়া গ্রামের ওমেদ আলীর ছেলে। আবদুস সালাম মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে। আটক দুলালী বেগম বেলকা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামের আবদুল গণি মিয়ার স্ত্রী। আবদুল গণি মিয়া বলেন, কয়েকদিন আগে আমার একটি শ্যালো মেশিন চুরি হয়েছে। শুক্রবার রাতে গোয়াল ঘরে গিয়ে সালামকে দেখতে পাই। তখন প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনকে খবর দিই। তারা এসে মারধর করেছে। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় দুলালী বেগমকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে বেলকা নবাবগঞ্জ এলাকার মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে আবদুল গণি মিয়ার গোয়াল ঘরে প্রবেশ করেন আবদুস সালাম। এ সময় গণি মিয়ার স্ত্রী দুলালী বেগম বিষয়টি টের পেয়ে স্বামীকে জানান।
গোয়াল ঘরে সালামকে দেখে দুলালী বেগম আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেন। তারা সালামকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করেন। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বেঁধে পুকুরে রাখা হয়। ভোরে পুকুর থেকে টেনে-হিঁচড়ে গণি মিয়ার ভাই আবদুল গফুরের গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে আবারও নির্যাতন চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সালামের মৃত্যু হয়।