শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে খ্রিস্টভক্ত হাজারো পুণ্যার্থীর অর্চনা-আরাধনায় গতকাল শেষ হয়েছে দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রানীর বার্ষিক ধর্মীয় তীর্থ উৎসব। পুনর্মিলন ও পাপ স্বীকারের মধ্য দিয়ে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার এ উৎসব শুরু হয়। এবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত আর্চিবিশপ কেভিন রেনডাল। উৎসব ঘিরে কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে ছিল সাজ সাজ রব।
আয়োজকরা জানান, ১৯১৭ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরে ‘মা মারিয়া’ তিনজন ছেলে মেয়ের কাছে দেখা দিয়েছিলেন। মা মারিয়ার দেখা পাওয়ার পরে থেকে ওই বিশ্বাসীর সংখ্যা বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশি খ্রিস্টভক্তরা শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তবর্তী বারমারী সাধু লিও খ্রিস্টধর্ম পল্লীতে ১৯৯৮ সালে ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান স্থাপন করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর উৎসব উদ্যাপন হয়। অনুষ্ঠান ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চারস্তরের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল বলে জানিয়েছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম। আয়োজক স্থানীয় বারমারি খ্রিস্টধর্ম পল্লীর ফাদার পাল রেভারেস্ট তরুণ বনোয়ারি ভালোভাবে তীর্থ উৎসব শেষ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান জানান, অত্যন্ত শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সব ধর্মের মানুষের সহযোগিতায় উৎসবটি শেষ হয়েছে।