বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, ‘মাইজভান্ডারী তরিকার মূল নির্যাস মানবকল্যাণ। এ তরিকা মানুষকে আলোর পথ দেখায়। মাইজভান্ডারী তরিকা কোরআন-সুন্নাহর আলোকে চলে। এর বাইরে যা, মাইজভান্ডারী তরিকা তা অনুমোদন করে না।’
গতকাল রাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দমদমায় গাউছিয়া গণি মনজিলে পীর আল্লামা শাহসুফি সৈয়দ আবদুল গণি চৌধুরী (ক.)-এর ৯১তম ওরশ শরিফ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মো. নূরে আলম।
পরে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি এবং বিশ্বশান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সাজ্জাদানশিনে দরবার প্রফেসর শাহসুফি সৈয়দ সফিউল গণি চৌধুরী।
কাদের গণি চৌধুরী আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে দেশে দেশে যুদ্ধ-সংঘাত, ধর্মবিদ্বেষ, বর্ণবৈষম্য, ইসলামোফোবিয়া, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার চরম আকার ধারণ করেছে। এ অশান্ত পরিস্থিতিতে হুজুর গাউসুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভান্ডারী (ক.)-এর মহৎ আদর্শ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা, মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ, সমতা সৃষ্টির শিক্ষা মাইজভান্ডার শরিফ দিয়ে আসছে। তাই মাইজভান্ডারী দর্শনই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ার মূল প্রভাবক হতে পারে।’
আলোচনায় অংশ নেন ড. নিজাম উদ্দিন জামি, মাওলানা সৈয়দ মু’তাসিম বিল্লাহ, শাহসুফি সৈয়দ মামুনুর রশিদ আমিরী, শাহসুফি শেখ শহিদুল্লাহ ফারুকী, মাওলানা কাজী খালেদুর রহমান হাশেমী, মাওলানা সৈয়দ সালাউদ্দিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম, মাওলানা আবুল বশর মাইজভান্ডারী, মাওলানা সৈয়দ বশিরুল আলম, মাওলানা নুরুল ইসলাম ফোরকানী, মাওলানা আলী আজম রেজভি, মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ এনামুল হক, মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফি, মাওলানা কে এম জহির উদ্দিন, মাওলানা কাজী সেলিম উদ্দীন, মাওলানা ইকরাম উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা বেলাল উদ্দিন, মাওলানা মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন প্রমুখ।