নিরপেক্ষতার পরীক্ষায় সরকার এখনো পাস করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশসমূহ কেন্দ্র করে ঐক্যের পরিবর্তে আরও অনৈক্য দেখা দিয়েছে। ভিন্নমতের বিষয়সমূহ পুরোপুরি বাদ দিয়ে সুপারিশ প্রেরণ করায় কমিশনের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এটা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও বিব্রতকর।’
তিনি বলেন, ‘কমিশনের সুপারিশে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনে সরকার যেভাবে সংবিধান সংশোধন আদেশ প্রদানের কথা বলা হয়েছে, তা-ও পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। কারণ এ ধরনের কোনো ক্ষমতা, এখতিয়ার বা ম্যান্ডেট অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। এ ধরনের উদ্যোগ হবে প্রকারান্তরে সংবিধান অস্বীকার করার শামিল। তা ছাড়া সংবিধান সংশোধনের এ ধরনের আদেশ এক ভয়ংকর নজিরও সৃষ্টি করবে। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে সংবিধান সংশোধনে এ উদাহরণ ব্যবহার করার আশঙ্কা থাকবে। এ ধরনের পদক্ষেপ পরোক্ষভাবে বরং কর্তৃত্ববাদী শাসনের রাস্তা খুলে দিতে পারে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণভোটের প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অধিকাংশ দল ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠানে মত দিয়েছিল। বাস্তবে গণভোটের প্রশ্নে এর অন্যথা হওয়ার সুযোগ নেই। তা ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে আর একটা নির্বাচন করার সময় ও সামর্থ্য সরকার বা নির্বাচন কমিশনের নেই। আর কোনো কারণে গণভোটে ভোট প্রদানের হার স্বল্প হলে তা রাজনৈতিক দিক থেকে বিরাট বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।’