জাল জন্মনিবন্ধন ও ভুয়া তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী।
মামলায় সাবেক চট্টগ্রাম বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফেনী জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে ও আবদুল জলিলকে (৫০) আসামি করা হয়েছে।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, অভিযুক্তরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নথি জাল করেছেন। প্রাথমিকভাবে অপরাধের সত্যতা পাওয়ায় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তদন্তে অন্য কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের বাসিন্দা আবদুল জলিল বৈধ কোনো নাগরিকত্বের কাগজপত্র ছাড়াই জাল জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং বন্দর থানার তৎকালীন নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম।
আবদুল জলিলের জন্ম, নাগরিকত্ব বা তার পিতামাতার কোনো সরকারি রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি। ২০১১ সালের ২২ জুলাই তিনি বৈধ নথি ছাড়া জাল জন্মনিবন্ধন তৈরি করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের মে মাসে আবারও ভুয়া স্বাক্ষর ও জাল সনদ ব্যবহার করে জন্মনিবন্ধন নবায়ন করেন।
পরে ওই জাল সনদ ব্যবহার করে নির্বাচন অফিসে ভুয়া তথ্য ও ঠিকানা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনের ফর্মে তার পিতা-মাতা, স্ত্রী ও অন্যান্য তথ্যের ঘর ফাঁকা রাখা হয়। একইসাথে স্থায়ী ও বর্তমান হিসেবে যে ঠিকানাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে তার বসবাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। দুদকের ফরেনসিক পরীক্ষায় জন্মনিবন্ধনের স্বাক্ষর ও নিবন্ধকের জাল স্বাক্ষর প্রমাণিত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল