চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের লক্ষ্যমাত্রার ৯৩ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। বুধবার (১২ নভেম্বর) সভায় চসিকের কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) শেষ হচ্ছে এবারের ক্যাম্পেইন।
চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, ইউনিসেফ কনসালটেন্ট ডা. সারোয়ার আলম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. খাদিজা আহমেদসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দেশজুড়ে টাইফয়েড টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ৯১ শতাংশ অর্জন করেছে। চসিক অর্জন করেছে ৯৩ শতাংশ। ক্যাম্পইনের শেষ দিন ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করছে তারা।
চসিকের জোনগুলোর মধ্যে আগ্রাবাদ জোনে শতভাগ, বন্দর জোনে ৯৫ শতাংশ, কাপাসগোলায় ৮৬ শতাংশ, মেমনে ৯৯ শতাংশ, উত্তর কাট্টলি ৯৭ শতাংশ, পাঁচলাইশ ৭৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন, শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে হবে। টাইফয়েড একটি অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। অনেক সময় সাধারণ জ্বর ভেবে আমরা বুঝতে পারি না এটি টাইফয়েড। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে অঙ্গহানি পর্যন্ত ঘটাতে পারে। তাই প্রতিরোধই সবচেয়ে বড় সুরক্ষা। এই টিকা বাইরে থেকে নিলে ১২ থেকে ১৪শ’ টাকা খরচ হয়, কিন্তু চসিক এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিচ্ছে।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কিছু এলাকায় টিকা গ্রহণের ভালো সাড়া পাওয়া গেলেও, অনেক এলাকায় এখনো টিকা গ্রহণের হার সন্তোষজনক নয়। এর পেছনে অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব বলে মনে করে চসিক। তাই লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান তারা।
বিডি প্রতিদিন/কামাল