সোরিয়াসিস কেবল একটি চর্ম রোগের নাম নয়, এটি অনেকগুলো রোগের সমাহারের নাম। কেউ সোরিয়াসি রোগে আক্রান্ত হলে তার ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ওজন বৃদ্ধি, মানসিক সমস্যা, হাত ও গিরা ব্যথা হতে পারে। তাই সোরিয়াসিস রোগে চিকিৎসা করার সময় এসব জটিল বিষয়গুলো মাথায় রেখে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমেই দিতে হবে। রোগীদের অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফলোআপ চিকিৎসায় থাকতে হবে।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব সোরিয়াসিস দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিকুল মাওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সম্মানিত অতিথি ছিলেন চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. মনছুরুল আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাসলিম উদ্দিন, চমেকের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবদুর রব, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সামিউল হক ও আবু হেনা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জুনায়েদ মাহমুদ খান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের চিকিৎসক তাহমিনা বিনতে হুমায়ুন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে প্রতি সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে সোরিয়াসিস রোগের চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, সোরিয়াসিস রোগীকে অবশ্যই জীবনাচারে পরিমিত হতে হবে। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ডায়াবেটিস, খেতে হবে পরিমিত খাবার। কম রাখতে হবে ওজন। তবে সোরিয়াসিস কোনো ছোয়াচে রোগ নয়। তাই আক্রান্ত ব্যাক্তিকে পরিবার বা সমাজে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। বরং তাদের মানসিক সাহস দিতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম