উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে এবার রাজপথে নেমেছেন সিলেটবাসী। রেলপথ সংস্কার ও নতুন ট্রেন চালুসহ ৮ দফা দাবি আদায়ে আগের দিন রেলপথ অবরোধের পর আজ রবিবার সিলেট নগরীতে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সাবেক সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নেতৃত্বে ‘সিলেট আন্দোলন’ ব্যানারে এদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রধান ফটকও ঘেরাও করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে জেলা প্রশাসক সিলেটবাসীর দাবিদাওয়া সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলকে জানাবার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
সিলেটের যোগাযোগ ভোগান্তি নিরসন, আটকে থাকা মেগাপ্রকল্প দ্রুত সম্পন্ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে দুই সপ্তাহ আগে সিলেটবাসী আন্দোলনে নেমেছিলেন। ওই সময় প্রতীকি ধর্মঘট ও সমাবেশের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে দুই সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ২৬ অক্টোবর ওই সময় শেষ হওয়ার পর সিলেটের বিভিন্ন পেশার নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় মশাল মিছিল এবং ২ নভেম্বর সিটি পয়েন্ট থেকে সুরমা মার্কেট পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাবেক সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনকে ২৪০০ কোটি টাকা, চট্টগ্রামকে ৩১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও সিলেটের ১৯০০ কোটি টাকার প্রকল্প ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রকল্প কাটছাট করতে বলা হয়। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে বসে থাকা সিলেটবিদ্বেষীদের কারণে বারবার সিলেটবাসী বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের বিশেষ ট্রেন চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়— এটি সিলেটবাসীর প্রতি বিদ্বেষ ও বিদ্রূপ ছাড়া কিছু নয়। চলতি মাসে সিলেটের উন্নয়নে ন্যায্য বরাদ্দ না হলে আরও তিন বছর সিলেটবাসীকে উপেক্ষিত থাকতে হবে। কারণ ডিসেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশে সব ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর নির্বাচিত সরকার এসে নীতি ঠিক করতে করতে তিন বছর চলে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল