বর্তমান সময়ে এসে পাল্টে গেছে অনেক হিসেব নিকেশ। পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষার্থীরা পছন্দের পেশায় যুক্ত হবেন, এমন একটি চিন্তা ছিল সবার।
তবে সময়ের সাথে এই চিন্তার মাঝেও এসেছে নতুনত্ব। এখন পড়াশোনা অবস্থায় চাকরি, ব্যবসাসহ নানাভাবে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীরা।অথচ অনেকেই পড়াশোনার ব্যয়, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা কিংবা দৈনন্দিন খরচের পর সঞ্চয় করতে পারে না।
তাই চাইলেও অনেকে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছে পূরণ হয় না। তবে ছোট ছোট পরিকল্পনার আপনার এই চিস্ত বদলে দিতে পারে। সঞ্চয়ের এমন কিছু পরিকল্পনা নিজেই তৈরি করুন-
ছোট থেকেই শুরু
একসাথে বড় অঙ্কের টাকা জমাতে হবে এমন চিন্তা পরিহার করুন। সেই সাথে হতাশা দূর করুন। মাসে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা জমাতে পারলে বছর শেষে তা ২৩০০০ থেকে ২৪০০০ হাজার টাকা হতে পারে। এক্ষেত্রে সঞ্চয়ের দৃঢ় ইচ্ছা থাকতে হবে।
সঞ্চয়ের মানসিকতা তৈরি করা
শুধু টাকা জমাবেন বিষয়টি এমন নয়, একটি সঞ্চয়ের মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। যখন হাতে টাকা আসবে, তখনই কিছু টাকা আলাদা করে সরিয়ে রাখুন।
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য ছাড়া একটা সময়ে সঞ্চয়ের উৎসাহ কমে আসতে পারে। আপনি কি নতুন ল্যাপটপ কিনতে চান? কিংবা উচ্চ শিক্ষার জন্য ফান্ড বাড়াতে চান? কিংবা ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের আশায় টাকা জমা রাখছেন তার একটি লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। সেই লক্ষ্যের প্রতি অটুট থাকতে হবে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা
নিজের একটি সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এতে আপনার সঞ্চয়ের আগ্রহ বৃদ্ধির পাশাপাশি অনকে খরচ কমে আসবে।
বাজেট তৈরি করুন
মাসিক আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখুন। কোন খাতে কত খরচ হচ্ছে তা জানলে অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়ানো সম্ভব হয়। সেই সাথে প্রতিদিন ক্যাফেতে খাওয়া, অতিরিক্ত শপিং কিংবা রাইড শেয়ার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এতে আপনার সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়বে।
অফার, ডিসকাউন্ট ও শিক্ষার্থী ছাড় ব্যবহার করুন
বিভিন্ন সেবা ও পণ্য শিক্ষার্থীদের জন্য ডিসকাউন্ট নিয়ে আসে। সেগুলো খেয়াল রাখুন এবং সুযোগমতো ব্যবহার কুরন। এতে ব্যয় কমে যাবে।
আয় বাড়ানোর উপায়
পার্টটাইম চাকরি, অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং, টিউশন বা নিজস্ব দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় বাড়াতে পারেন। আয় বাড়লে সঞ্চয় করাও সহজ হয়। সেই সাথে ক্যারিয়ারে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
যে কোন ব্যক্তির পক্ষে প্রথম দিকে সঞ্চয় করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু একবার সঞ্চয় করার মানসিকতা গড়ে উঠলে তা একটা সময় অভ্যাসে পরিণত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই সঞ্চয়ের এই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ভবিষ্যতের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। সেই সাথে ভবিষ্যতে উজ্জ্বল হবে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল