বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সাহিত্য, সংগীত, নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি ও শিল্পকলার বিকাশে কাজ করতে যাত্রা শুরু করলো ‘রক্তকরবী’। এটি একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিল্পচর্চার সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে বাংলামটরের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান মাধ্যমে রক্তকরবীর আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠিত হয়। সহযোগিতায় ছিল বসুন্ধরা শুভসংঘ, গভমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সাইন্স শাখা।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা ও মানবতার অমলিন প্রতীক কবি শামসুর রহমানকে নিবেদন করা হয়।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এবিএম শহিদুল ইসলাম (কবি শহিদ আজাদ) বলেন, সাংস্কৃতিক সংগঠন হলো জাতির চেতনার কারখানা, যেখানে তৈরি হয় মুক্তচিন্তা, মানবিকতা ও সভ্যতার নতুন বীজ, যা একসময় সাংস্কৃতিক বিপ্লবে রূপ নেয়। বিশ্বাস করি, ‘রক্তকরবী’ নামক এই প্রতিষ্ঠান একদিন আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনায় প্রজাপতি হয়ে উড়বে।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তাহেরা আফরোজ বলেন, রক্তকরবী শুধু শিল্পচর্চার সংগঠন নয়—এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন। সংগঠনটি তরুণ প্রজন্মকে সাহিত্য, নাটক, সংগীত, আবৃত্তি ও চিত্রকলার মাধ্যমে সৃজনশীল, মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে। আমরা বসুন্ধরা শুভসংঘকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই আমাদের শুভ কাজে পাশে থাকার জন্য।
রক্তকরবীর মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও চর্চা, জাতীয় দিবস ও সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন, মাদক, সন্ত্রাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক আন্দোলন, সামাজিক সচেতনতা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করা, এবং সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও প্রদর্শনীর আয়োজন। সংগঠনের সদস্যপদ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য, যারা রক্তকরবীর লক্ষ্য ও নীতিতে বিশ্বাসী।
সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী আখতার বলেন, শিল্পই সমাজ পরিবর্তনের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। তাই কেবল শিল্পচর্চা নয়, সাংস্কৃতিক চেতনার মাধ্যমে একটি মানবিক, সৃজনশীল ও দায়িত্বশীল সমাজ গড়ে তোলা আমাদের অঙ্গীকার।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল